Post Image

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস🌿

আজ ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ "করোনাকালে গর্ভকালীন সেবা নিন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধ করূন৷" নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যান্য বছর দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপিত হলেও এবার করোনার কারণে সীমিত আকারে পালন করা হবে। নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে। গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সকল নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণই হল নিরাপদ মাতৃত্ব। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শব্দ ‘মা’| বলা হয়ে থাকে একজন নারীর পূর্ণতা আসে মাতৃত্বে। বংশানুক্রম ধারা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব প্রাকৃতিকভাবেই নারীর ওপর তার মাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বর্তেছে। ১৯৮৭ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে উন্নয়ন-সহযোগীদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় । ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বিষয়টি পর্যালোচনা করে এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো নিরাপদ মাতৃত্বকে নারীর অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমিয়ে আনা। অন্যান্য দেশ বিভিন্ন তারিখে দিবসটি পালন করে। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই বাংলাদেশে এই দিবসটি পালন হয়ে আসছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের চেয়ে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৭২ জন মা মৃত্যুবরণ করেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৭৬ জন। বর্তমানে ৩৭ ভাগ মা কমপক্ষে চারটি প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ করে থাকে। দেশে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ৪৭ শতাংশ। প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রসব-পরবর্তী সেবা গ্রহণের হার ৩২ শতাংশ। মাতৃত্বের অধিকারের ব্যপারে বলা যায়, একজন নারী কত দিন কোন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন বা আদৌ ব্যবহার করবেন কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র তারই। নারী আদৌ সন্তান নেবেন কি না বা কবে নেবেন, কজন নেবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তিনি সংরক্ষণ করেন। একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসবের জন্য যাবতীয় সেবা এবং প্রসব-পরবর্তী সেবা পাওয়ার সব অধিকার রাখেন। গর্ভকালীন সেবা ও সন্তান জন্ম দানের ব্যাপারে নারী মাতৃ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে তবেই এ দিবসের সার্থকতা। গর্ভকালীন মাতৃ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এখন কেবল মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় নয় সুস্থ শিশুর জন্যও আবশ্যক। নিচের বিষয়গুলো আমাদের সকলের অবশ্যই গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে পরিবারের সবাইকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। গর্ভকালীন সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রসব পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের প্রতিমাসে অন্তত একবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। গর্ভকালীন সময়ের বিপদ চিহ্ন সমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা থাকতে হবে। ঝুঁকি পূর্ণ কাজ সমূহ হতে বিরত থাকতে হবে। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রসব কালীণ সময়ের প্রয়োজনীয় অর্থ থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ের পূর্ব পস্তুতি রাখতে হবে। প্রসব কালীন সময়ের যে কোন জটিলতা দেখা মাত্র ডাক্তার অথবা নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। নিরাপদ প্রসব সুস্থ শিশুর জন্মের পূর্ব শর্ত, সুস্থ শিশু আগামী পৃথিবীর কর্ণধার। মনে রাখতে হবে, নিরাপদ প্রসব নারীর প্রাপ্য ও অধিকার।

Read More
Post Image

Dietitian and Nutritionist

Obesity and Diet Therapy Specialist

Read More
Post Image

শিশুর ওজন ও উচ্চতা

শিশুর ওজন ও উচ্চতা শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে আমরা কয়েকভাগে ভাগ করতে পারি, যেমন- শারিরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ। শারিরিক বিকাশ দৃশ্যমান এবং সহজেই বোধগম্য, শিশুর ওজন ও উচ্চতা দিয়ে আমরা শারিরিক বিকাশ বুঝতে পারি, জন্মের পর শিশুর বয়সের সাথে সাথে নির্দিষ্ট হারে ওজন বাড়তে থাকে এবং উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়। শিশুর জন্ম ওজন সম্পর্কে আমরা ধারনা পেয়েছি পূর্ববর্তী অধ্যায়ে। জন্মের পর পর প্রথম সপ্তাহে বাচ্চা ওজন হারায় এবং ২-৩ এ ওজন স্থির থাকে তার পর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। তারপর পরবর্তী মাসগুলোতে আর একটু কম হারে ওজন বাড়তে থাকে, ৩-১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ৪০ গ্রাম ওজন বাড়ে। ৫-৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্ম ওজনের দ্বিগুন হয় ১ বৎসরে ৩ গুন, ২ বছরে চারগুন, ৩ বছরে পাঁচগুন, ৫ বছরে ছয়গুন এবং ১০ বছর বয়সে ১০ গুন হয়। তবে জন্ম ওজনের পার্থক্যের কারনে একই বয়সী দুটি শিশুর ওজনের কিছু তারতম্য ঘটতে পারে। তবে এ তারতম্য শিশুর সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টি পেলে স্বাভাবিক ওজনে পৌছে যায়, কারন প্রতি শিশুর স্বাভাবিক ওজনে পৌছার সুপ্ত ক্ষমতা থাকে। তিন বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসেই শিশুর ওজন নেয়া উচিত। পর পর দুইমাস শিশুর ওজন যদি না বাড়ে, তবে খেয়াল করতে হবে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কিনা। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার পরও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সুষম খাদ্য সঠিক পুষ্টি পেলে শিশু ওজনে ও উচ্চতায় সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে। জন্মের সময় শিশুর দৈর্ঘ্য থাকে সাধারণত ৫০ সেঃ মিঃ, ৩ মাসে এ দৈর্ঘ্য গিয়ে দাড়ায় ৬০ সেঃ মিটার, ৯ মাসে হয় ৭০ সেঃ মিঃ, ১ বছরে ৭৫ সেঃ মিঃ, ২ বছরে ৮৫ সেঃমিঃ, ৩ বছরে ৯৫ সেঃ মিঃ এবং ৪ বছরে ১০০ সেঃ মিঃ তার পর প্রতিবছর ৫ সেঃ মিঃ করে বাড়তে থাকে বয়ঃ সন্ধিকাল পর্যন্ত। সাধারণত একজন মেয়ে শিশু ২ বছর বয়সে বয়স্ক মানুষের উচ্চতার অর্ধেক উচ্চতা অর্জন করে এবং ছেলে শিশু এ উচ্চতা অর্জন করে ২ ১/২ বছর বয়সে। ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর ওজন ও উচ্চতায় কিছুটা তারতম্য থাকে। এ ক্ষেত্রে ছেলে শিশুরা মেয়ে শিশুর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকে। শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা বুঝতে হলে নিয়মিত ওজন, উচ্চতা নিয়ে তাকে গ্রোথ চার্টের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। গ্রোথ চার্ট হচ্ছে বৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরী করা একটি চার্ট যাতে বয়স অনুযায়ী ওজন,উচ্চতা,মাথার পরিধি গ্রাফের সাহায্যে সন্নিবেশিত থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা শিশু স্বাস্থ্য ও পুস্টি নিয়ে গবেষণা করেন তারা শিশুর বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য এই গ্রোথ চার্ট তৈরী করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রনীত গ্রোথ চার্টটি সর্বজন স্বীকৃত। তাছাড়া বর্তমানে CDC(Centre for Disease Control and prevention) কর্তৃক প্রনীত ও প্রকাশিত গ্রোথ চার্টটি বেশ জনপ্রিয়। শিশু চিকিৎসকেরা বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন, উচ্চতা ও মাথার পরিধি পরিমাপ করে এই চার্টের সাথে মিলিয়ে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ এবং পুস্টির অবস্থা নিরুপন করেন। ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর জন্য আলাদা আলাদা চার্ট তৈরী করা হয়েছে। এই সব চার্টে বয়স অনুযায়ী ওজন (weight for age), বয়স অনুযায়ী উচ্চতা (Height for age) এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন (weight for height) দেখার ব্যবস্থা আছে।

Read More
Post Image

Fetal-development-week-by-week/ baby-development-week-by-week

https://dietitiansmrity.blogspot.com/2021/01/fetal-development-week-by-week-baby.html https://dietitiansmrity.blogspot.com/2020/05/sayeda-shirina-smrity-sr.html

Read More
Post Image

শিশু খাদ্যের নিয়ম - (০৬ মাস থেকে ৮ মাস) বয়স

৬ মাস বয়স থেকে ৮ মাস বয়স পর্যন্ত শিশু খাদ্যের নিয়ম - # ৬ মাস বয়স থেকে ৮ মাস বয়স পর্যন্ত সকল শিশুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ বার ১কাপ করে পুষ্টিকর ভারি খাবার খেতে দিতে হবে। # শিশুর ভারি খাবারে চাল, ডাল, মাংস বা মাছ বা কলিজা, নরম শাকসবজি ও তেল থাকা আবশ্যক। # শিশুকে সব সময় সব খাবারই চটকানো বা ম্যাস্ট খাবার খেতে দেওয়া ভাল। # প্রতিদিন ভারি খাবারের পাশাপাশি ২ থেকে ৩ বার হালকা খাবার যেমন- ডিম, নরম ফল, সুজি, দুধ ইত্যাদি থাকা আবশ্যক। # শিশুকে ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। মায়ের দুধের পাশাপাশি ২বেলা ভারি ও ৩বেলা হালকা খাবার খাওয়াতে হবে। # # # সৈয়দা শিরিনা (স্মৃতি) ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এবং নিউট্রিশনিস্ট বিআরবি হসপিটালস লিমিটেড Email: dietitiansmrity@gmail.com Facebook: https://facebook.com/DietitianSmrity

Read More