Post Image

চুলের যত্ন

আমাদের চুল লম্বা হোক কিংবা ছোট হোক কম বেশি সবাই চুলে স্টাইল করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা ঘরোয়া কোন পার্টি সবাই চায় সবাই চায় চুলটি একটু ভিন্নভাবে বাঁধতে। আপনার সুন্দর হেয়ার স্টাইল বদলে দিতে পারে আপনার পুরনো লুক। তাই চুল আমাদের শরীরের সবার বিশেষ একটা অঙ্গ। চুল পড়ে যাওয়ার কারনঃ সাধারণত চুল পরে যাওয়ার অনেক কারণ থাকে তবে বিশেষ কিছু কারণ আছে যা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ ১) পারিবারিক ইতিহাসঃ যদি আপনার বাবা অথবা মায়ের কম বয়সে চুল পেকে গিয়ে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রেও তা হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আসলে আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাঝেই বিদ্যমান থাকে। ৩) হরমোন পরিবর্তনঃ কয়েক বছর আগের অথবা কয়েক মাস আগের নিজের একটা ছবি দেখলেই আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার চুলে সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে। মূলত সময়ের পরিবর্তনের সাথে হরমোনে পরিবর্তন আসে বলেই এসব পরিবর্তন দেখা যায়। সাধারণত চুল পাকার পেছনেও দায়ী এই হরমোন। ৪) অটোইমিউন জটিলতাঃ আমাদের শরীরে অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়াটা নামের একটি অটোইমিউন ডিজিজ আছে যা কিনা আমাদের ত্বক এবং চুলকে প্রভাবিত করে অনেক বেশি। এই জটিলতায় আক্রান্ত মানুষের পুরো মাথা এমনকি পুরো শরীরেই চুল পরে যেতে পারে। ৫) পরিবেশ দূষণের ফলে চুল ঝড়া এবং অকালে পাকার ঝুঁকি বেড়ে যায় ৬) স্ট্রেসের কারণেও চুল ঝড়া বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরও বিশেষ কিছু কারণ আছে যে কারণে অল্প বয়সে আপনি হারাচ্ছেন আপনার সুন্দর ও পরিবর্তন হচ্ছে আপনার চুলের • প্রয়োজনীয় পরিমাণে পুষ্টির অভাব • শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা • অ্যানিমিয়া এর কারণে • সঠিক যত্নের অভাব ১. ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়িয়ে নিন ঘুম থেকে উঠে দেখি চুলে জট বেঁধে আছে। তাই ঘুম থেকে উঠার পর চুল আঁচড়ানো খুব জরুরি। চুল আঁচড়ানোর ফলে সারারাত চুলের গোঁড়ায় যে তেল জমে থাকে, তা চুলের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিয়মিত চুল আঁচড়ালে চুলের গোঁড়ার রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং এতে দ্রুত চুল বাড়ে। তাই নিয়মিত মাথার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ২-৩ মিনিট চুল আঁচড়াতে হবে। ২. চুল ধুয়ে নিন বাইরের ধুলাবালি আর দূষণের কারণে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করে থাকেন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যায়। যার ফলে চুল হয়ে যায় রাফ এবং ড্রাই। আবার চুল নিয়মিত ভালো করে না ধুলে কিন্তু খুব বিপদ। চুলের গোঁড়ায় ময়লা জমে খুশকি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। যাদের নরমাল চুল তারা সপ্তাহে ৩বার চুল ধুতে পারেন। যাদের রুক্ষ চুল তারা দু’দিন পরে একবার করে চুল ধুলে ভালো। আবার যাদের তেলতেলে চুল তারা অবস্থা বুঝে ২দিন বা ১দিন পর পরও চুল ধুতে পারেন। চুলে শ্যাম্পু করা না হলেও পানি দিয়ে যাতে স্ক্যাল্প ভালমত পরিষ্কার করা হয় এবং চুলে গরম পানি ব্যবহার করা না হয়, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ৩. ভেজা চুলের যত্ন চুলের যত্নে আমাদের আরেকটি ভুল হচ্ছে- গোসলের পর পরই চুল আঁচড়ানো। গোসলের পর নরম তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিতে হবে। কখনই তোয়ালে দিয়ে চুলে জোরে ঘষা উচিৎ না। জোরে জোরে ঘষলে চুলের আগা ফেটে যায়, চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, এতে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ভেজা চুল তোয়ালেতে চেপে চেপে চুল মুছবেন, অথবা চুল কিছুক্ষণ পেঁচিয়ে রাখতে পারেন। হালকা শুকিয়ে গেলে তারপর চুল আঁচড়ে নিবেন। ৪. হেয়ার প্রোডাক্ট বাছাই করা চুলের ধরণ বুঝে চুলে প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয়। নরমাল চুল হলে যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।শ্যাম্পু ভালো করে মাথায় সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করবেন। রুক্ষ চুল যাদের তাদের চুলকে নমনীয় করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। আর তৈলাক্ত চুলে অয়েল ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া কন্ডিশনার ব্যবহার করাও উচিত। কিন্তু খেয়াল রাখবেন চুলের স্ক্যাল্পে যাতে কন্ডিশনার না লাগে, এতে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার যাতে ঠিকমত পরিষ্কার হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যাদের চুলে কালার করা বা অন্য কোন হেয়ার ট্রিটমেন্ট নেয়া, তাদের সে অনুযায়ী চুলের জন্য শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার সিলেক্ট করা উচিৎ। ৫. চুলের যত্নে চিরুনি চুলের যত্নে কিন্তু চিরুনিরও অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। দাদী-নানীদের সময়ে কাঠের চিরুনি সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হত। দেখা যেত, তাদের চুল ঘন ও কালো ছিল এবং চুলও কম পড়তো। কারণ কাঠের চিরুনি ব্যবহারে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে, স্ক্যাল্পে তৈরী হওয়া তেল পুরো চুলে ছড়িয়ে যায় এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। বর্তমানে প্লাস্টিকের চিরুনি বেশি ব্যবহার হয়। আর প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবার সময় মাথায় তাপ উৎপন্ন করে। যেটি চুলের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত তাপ স্কাল্প সহ্য করতে পারে না এবং চুল পড়ে। তাই প্রতিদিনে ব্যবহৃত চিরুনি কোনটা ব্যবহার করছি, কী রকম চিরুনি তারদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ৬. রাতে চুলের যত্ন রাতে ঘুমানোর আগেও কিন্তু চুলের যত্ন প্রয়োজন। চাইলে সুন্দর করে একটি পনিটেইল বা বেণি করে নিতে পারেন। চুল খোলা রেখে শুতে যাওয়া ঠিক না। এতে বালিশের সাথে ঘষা লেগে চুল পড়তে পারে। বালিশের কভার সিল্কের হলে খুব ভালো হয়। চুল ভালো রাখতে ঘুমানোর আগে সপ্তাহে ২ বার তেল দিতে পারেন। তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে চুলটা আবারও উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ভালো করে আঁচড়িয়ে নিবেন। আপনার চুলের যত্ন কিন্তু প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নেয়া খুব জরুরি। এতে চুল ভালো থাকে এবং চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য যেসব হেয়ার প্যাক বা হেয়ার মাস্কগুলো আপনি ব্যবহার করেন সেগুলো ভালো করে কাজে দিবে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণের পানি এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনে চুলের যত্নে এই ৬টি বিষয় অভ্যাসে পরিণত করলে চুল নিয়ে থাকবে না কোনো টেনশন। আশা করি, এই ৬টি উপায় আপনার চুলের যত্নে অনেক কিছুর সমাধান দিবে।

Read More
Post Image

খুশকি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

খুশকির সমস্যায় নারী-পুরুষে ভেদ নেই। খুশকি নিয়ে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী কিংবা যুবক-যুবতী—সবাইকে দেখা যায় উশখুশ করতে। শুধুমাত্র শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়াতেই নয়, মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে এখন অনেকেই মোটামুটি সারা বছর খুশকির সমস্যায় ভোগেন। খুশকির জন্য আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত চুল ঝরে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, মাথার ত্বকে (স্ক্যাল্প) নানা রকমের সংক্রমণে জন্যেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ি এই খুশকি।চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অনেকের কাছেই যেন অসাধ্য! কিন্তু নানা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরে বসেই বেয়াড়া খুশকির লাগাম টেনে ধরতে পারেন আপনি। ১) টকদই: খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। খুশকি দূর করতে মাথার ত্বকে টকদই দিয়ে ভালভাবে মালিশ করুন। এর পর মিনিট দশেক রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন। ২) মেথি: ২-৩ চামচ মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। ছেঁকে নেওয়া জল ফেলে দেবেন না। এ বার মেথি বাটা চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। এর পর শুকিয়ে গেলে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভেজানো জল দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার মেথি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দ্রুত দূর হবে। ৩) লেবুর রস: ২ চামচ পাতি লেবুর রস সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালভাবে মালিশ করুন। মিনিট পাঁচেক চুলের গোড়ায় ভালভাবে মালিশ করার পর চুল ধুয়ে নিন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই ভাবে পাতি লেবু ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেন হাতেনাতে। ৪) রিঠা: চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে রিঠা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। খুশকির সমস্যা দূর করতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর! রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। চুলের গোড়ায় গোড়ায় রিঠার জল ভালমতো লাগলে তবেই ফল পাওয়া যাবে। ঘণ্টা খানেক পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার রিঠা ভেজানো জল মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ৫) নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলের যে কোনও সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য উপাদান। খুশকির প্রকোপ কমাতেও এই অত্যন্ত কার্যকর। এ ছাড়া চুলে গোড়ার আদ্রতা বজায় রেখে খুশকি এবং ‘স্ক্যাল্প ইনফেকশন’-এর আশঙ্কাও অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেলের মালিশ করলে ফল পাবেন হাতেনাতে। ৬) পেঁয়াজের রস: ২ পেঁয়াজ ভাল করে বেটে ১ মগ জলে মিশিয়ে নিন। এ বার পেঁয়াজের রস মেশানো ওই জল মাথায় লাগিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। কিছু ক্ষণ পর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন। ৭) ঘৃতকুমারীঃ খুশকি ভরা মাথায় ঘৃতকুমারীর রস মেখে নিলে দারুণ আরাম পাবেন। খুশকির জ্বালায় দিনরাত চুলকানো থেকে খানিকটা ছুটিও দেবে ঘৃতকুমারীর রসের শীতল আরাম। এই উদ্ভিদ রসের সমৃদ্ধ উপাদানগুলো আপনার ত্বকের অনেক সমস্যাই দূর করবে। ৮) মেথি-তেলঃ সাধারণ নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে কয়েকদিন বোতলে রেখে দিন। নিয়মিত এই মেথি মেশানো তেল মাখুন মাথায়। রাতে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে মাথার চুল ও ত্বক দুইই ভালো থাকবে। খুশকি থেকেও রেহাই পাবেন।

Read More
Post Image

গর্ভকালীন যত্ন

গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় তাই গর্ভকালীন সেবা । গর্ভধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বা Antinatal Care বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা। এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি না করে সমাজকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেয়া। একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ প্রসব এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা গর্ভবতীর স্বামীসহ পরিবারের সকলের সমান দায়িত্ব । বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা/চেকআপের সময়সূচি • ১মঃ ৪র্থ মাসের মধ্যে (১৬ সপ্তাহ) • ২য়ঃ ৬ষ্ঠ মাসে (২৪ সপ্তাহ) • ৩য়ঃ ৮ম মাসে (৩২ সপ্তাহ) • ৪র্থঃ ৯ম মাসে (৩৬ সপ্তাহ) গর্ভবতী মায়ের খাবার • এ সময় মা ও গর্ভের শিশু দু’জনের সুস্থতার জন্য একটু বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন । বিশেষ করে শিশু বেড়ে ওঠার জন্য আমিষ জাতীয় খাবার যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ বেশি করে খেতে হবে । এ ছাড়া সবুজ ও রঙিন শাকসবজি, তরকারি ও ফল ছাড়াও যেসব খাবারে আয়রন বেশি আছে যেমন কাঁচাকলা, পালং শাক, কচু, কচুশাক, কলিজা ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে । আর বেশি পরিমাণে পানি (দিনে ৮/১০ গ্লাস) খেতে হবে এবং রান্নায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করতে হবে । • অনেকেরই ধারণা মা বেশি খেলে পেটের বাচ্চা বড় হয়ে যাবে এবং স্বাভাবিক প্রসব হবে না । অনেকে গর্ভবতী মাকে বিশেষ কিছু খাবার খেতে নিষেধ করে । যেমন- দুধ, মাংস কিছু কিছু মাছ ইত্যাদি । এগুলো খাওয়া তো নিষেধ নয়ই, বরং মা বেশি খেলে মায়ের ও বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে । মা প্রসবের ধকল সহ্য করার মতো শক্তি পাবেন এবং মায়ের বুকে বেশি দুধ তৈরি হবে । • এ সময় স্বাভাবিক কাজকর্ম করা শরীরের জন্য ভালো । কিন্তু কিছু কিছু ভারি কাজ যেমন: কাপড় ধোয়া, পানি ভর্তি কলস কাঁখে নেয়া, ভারি বালতি বা হাঁড়ি তোলা উচিত নয় । এ সময় প্রতিদিন গোসল করা, দাঁত মাজা, চুল আঁচড়ানো, পরিষ্কার কাপড় পরা উচিত । এতে শরীর ও মন ভালো থাকে । • গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চেকআপের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে মা ও গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গর্ভবতী মাকে গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে ৪ বার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চেকআপের জন্য যাওয়ার সুপারিশ করেছে, এর মাধ্যমে ৬টি সেবা নিশ্চিত করা হয় । তবে মনে রাখা দরকার যে, গর্ভবতী মায়ের অবস্থা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ৪ বার এর বেশি চেকআপে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে । প্রথম তিন মাসে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? প্রথম গর্ভধারণের লজ্জা, বমি বমি ভাব, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। অথচ এই সময়ই বাচ্চার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো পূর্ণ রূপ লাভ করে। এ সময় সহমর্মিতার পাশাপাশি বমি বেশি হলে বমিনাশক, অম্লনাশক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এ সময় ছোট কয়েকটি পরীক্ষা, যেমন রক্তের হিমোগ্লোবিন, সুগার ও গ্রুপ করে রাখা উচিত। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার দরকার নেই। পরবর্তী তিন মাস কোন বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে? যাঁদের মাসিক অনিয়মিত, তাঁদের তারিখ নিশ্চিত করার জন্য ১২-১৪ সপ্তাহে এবং যাঁদের কোনো বংশগত বা জন্মগত সমস্যা আছে কিংবা হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য ২০-২২ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হবে। যেহেতু গর্ভস্থ শিশুর শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান মায়ের কাছ থেকেই আসে, তাই মায়ের প্রতিদিনের খাদ্য হতে হবে সুষম; যার মধ্যে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি, ফলমূল ও প্রচুর পানি থাকতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দুপুরে অন্তত দুই ঘণ্টা ও রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা বিশ্রাম দিতে হবে। আগে টিকা দেওয়া না থাকলে গর্ভাবস্থায় পাঁচ ও ছয় মাস শেষ হলে দুটি টিটি টিকা দিতে হবে। গর্ভস্থ শিশুর বাড়ন্ত গঠনের জন্য আয়রন, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে দিলে ভালো হয় শেষ তিন মাস কেন গুরুত্বপূর্ণ? এ সময় গর্ভের শিশু খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। এ সময় অনেক গর্ভবতী মায়ের পায়ে পানি আসতে পারে। পেট বড় হওয়ার জন্য মৃদু শ্বাসকষ্ট, অ্যাসিডিটির কষ্ট, স্তন থেকে কিছু তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে পারে। এগুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তাঁকে এসব বুঝিয়ে বলতে হবে। এই সময়ে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, এমন কিছু ঘটলে, যেমন অস্বাভাবিক পেট বড় বা ছোট হওয়া, হঠাৎ রক্ত ভাঙা, খুব বেশি জ্বর আসা, রক্তচাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়া—এমন পরিস্থিতিতে তাড়াতাড়ি চিকিৎসককে দেখাতে হবে। এই সময়ে দীর্ঘ ভ্রমণ? গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস দীর্ঘ ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। উঁচু-নিচু পথ কিংবা ঝাঁকির আশঙ্কা আছে, এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সকালে ও বিকেলে কিছু সময়ের জন্য স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে ভ্রমণ গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো, এতে শরীর সুস্থ ও মন প্রফুল্ল থাকে। প্রসবকালীন সতর্কতা মাথা ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ প্রথম দেখা দিলে বা বের হয়ে আসতে চাইলে, প্রসবের সময় ১২ ঘণ্টার বেশি হলে, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হলে তাড়াতাড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিতে হবে। প্রসবের পরের প্রথম দুই ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় রক্তক্ষরণ, রক্তচাপ পরীক্ষা এবং ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত মাকে বিশ্রাম দিতে হবে। জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের কাছে আনতে হবে এবং মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রসবের সময় সতর্ক থাকতে হবে বিপদের চিহ্ন সম্পর্কে, যেমন যোনিপথে রক্তপাত, প্রচণ্ড জ্বর, শরীরে খুব বেশি পানি আসা, চোখে ঝাপসা দেখা, অবিরাম বমি, গর্ভকালে বা প্রসবের সময় খিঁচুনি হওয়া। এর একটি চিহ্ন দেখা গেলে এক মুহূর্তও দেরি না করে হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা মায়ের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী রক্তদাতার ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।

Read More
Post Image

শিশুর ত্বকের যত্নে তেল মালিশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, খুব ছোট শিশুদের, অর্থাৎ নবজাতকদের শরীরে তেল মাখালে তা লাভের চেয়ে ক্ষতিই করে বেশি। গবেষকেরা দেখিয়েছেন যে গায়ে তেল মাখেনি এমন বাচ্চাদের ত্বক বেশি মজবুত। আসলে আমাদের ত্বকের ওপরের পাতলা আবরণের নিচেই চর্বি বা ফ্যাটের স্তর থাকে। তেল মাখলে এই চর্বির স্তর পাতলা হয়, অর্থাৎ সুগঠিত হয় না। এর ফলে শিশুর শরীর সহজে শীতল হয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। সরিষার তেল খুব পুরু থাকে। এর জন্য র‍্যাশ হয়। বাচ্চার শরীর ময়লা হয়ে যায়। সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সরিষার তেলের ঝাঁজ বেশি। আমরা সাধারণত বলি, সরিষার তেল না দেওয়াই ভালো। অভ্যাসবশত অনেকেই মালিশের জন্য শিশুকে তেল মাখাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনেকে আবার গোসলের আগে তেল মাখান, এটা অবশ্য মন্দ নয়। তবে বাইরে যাওয়ার সময় তেল মাখা উচিত নয়। যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক, তাদের জন্যও তেল উপযুক্ত নয়। যদি এই শীতে বাচ্চার শুষ্কতার কথাই বিবেচনায় নেন, তবে তেলের পরিবর্তে ভ্যাসলিন কিংবা লোশন হতে পারে উপযুক্ত বিকল্প।

Read More
Post Image

নবজাতকের যত্ন

সদ্যজাত শিশু বলতে শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে চার সপ্তাহ বা এক মাস বয়সের শিশুকেই সাধারণতঃ বুঝায় । আর সদ্যজাত শিশুর যত্ন বলতে শিশুর ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুর নাড়ী কাটার বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত ।হাসপাতালে শিশু ভুমিষ্ঠ হলে সাধারণতঃ অসুবিধা হবার কথা নয় । কারণ সেখানে শিশুর নাড়ী কাটার জন্য ছুরি ,কাঁচি ,ফোরসেপ ,ইত্যাদি পানিতে ফুটিয়ে জীবানুমুক্ত করবার পর ব্যবহার করা হয় । তবে ,গ্রামে ,গন্জে অশিক্ষিত দাই এর কবলে পড়ে সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত না করে,ছুরি বা ব্লেড দিয়ে শিশুর নাড়ী কাটলে অথবা নাভীর গোড়ায় অপরিষ্কার কাপড় বা অন্যকিছু ব্যবহার করলে শিশুর ধনুষ্টংকার রোগের সম্ভাবনা থাকে । তাই যেখানেই শিশু ভুমিষ্ঠ হোক না কেন নাড়ী কাটবার জন্য প্রয়োজনীয় ছুরি ব্লেড সূতা ইত্যাদি পরিষ্কার পানিতে আধঘন্টা ফুটিয়ে জীবানুমুক্ত করে তারপর ব্যবহার করা উচিত । এরপর শিশুকে ত্বড়িৎ গতিতে তার শরীরটা মুছে নিয়ে নরম ও মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার কাপড় অথবা তুলা দিয়েমড়া খুব স্পর্শকাতর হয়ে থাকে।আর তাই synthetic সংস্পর্শে এলে শিশুর শরীরের চামড়ার ক্ষতি হতে পারে ।এবং নানারকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে । তবে সুতি কাপড় পরলেও এমনিতেই অনেকসময় শিশু জন্মাবার কয়েকদিন পর শরীরে লাল লাল একরকম দানার মতন দেখা দিয়ে থাকে । কয়েকদিন পর এমনিতেই সাধারণতঃ সেরে যায় । তবে ভাল হতে যদি দেরী হয় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত । একথা আজ প্রায় সকলেরই জানা হয়ে গেছে যে ,মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সর্বোৎকৃষ্ট খাবার ।এর কোনবিকল্প নেই। শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথম খাবারই হতে হবে মায়ের বুকের দুধ । এতে করে মায়ের ও শিশুর মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এছাড়া মায়ের বুকের প্রথম দুধ যেটাকে শাল দুধ বলে ,এবংএই দুধ একটু ঘন এবং কিছুটাহলুদ বর্ণের হয় । অনেকে এটা খারাপ দুধ ভেবে ফেলে দেয় । অবশ্য বর্তমানে এই ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে অনেকটাই ।এই দুধের ভিতরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন বেশী থাকে । অতএব কোন অবস্থাতেই এই শাল দুধ ফেলে দেওয়া উচিত নয় । এছাড়া শিশুকে খাওয়াবারও একটা নিয়ম আছে । শিশুকে শুইয়ে অথব কোলে নিয়ে দুধ খায়াবার পর কাত করে কিছুক্ষণ মায়ের বুকে চেপে রাখলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাবে শিশুটি ঢেঁকুর তুলেছে অর্থাৎ পেটেরগ্যাস বেরিয়ে গেছে । এরপরই শিশু বেশ আরাম বোধ করে । সদ্যজাত শিশুকে সাধারণতঃ দুই থেকে তিন ঘন্টা অন্তর খেতে দেওয়া উচিত । এবং দুধ খাবার মঝখানে ফুটান পানি ঠান্ডা করে খাওয়াতে হবে । তাহলে শিশুর পেটে গ্যাস হবেনা। পায়খানা ভাল হবে এবং শিশু পেটের ব্যাথায় কষ্ট পাবেনা ।অনেক সময় মায়েরা বুঝতে পারেননা ,শিশু কেন কাঁদছে । সাধারণতঃ পেটে গ্যাস হবার দরুণ পেটে ব্যাথা হয় এবং শিশু কান্নাকাটি করে ।এমনটি হলে শিশুকে বেশী বেশী ফুটান পানি পান করান উচিত । মায়ের বুকের দুধের মতো পাউডার দুধ অতোটা সহজপাচ্য নয় তাই শিশু বুকের দুধ না পেলে মায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত যাতে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পায়। শিশুকে সব সময় ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রাখা ঠিক নয় এবং যে ঘরে প্রচুর আলোবাতাস খেলা করে এবং শিশু হাত পা ছুড়ে খেলা করতে পারে এমন ঘরে তাকে রাখা উচিত । শীতকাল হলে যাতে করে শিশুর ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আর যদি খুব গরম পড়ে তবে শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে,গায়ের ঘাম মুছে,পাউডার লাগিয়ে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখা উচিত। এতে করে শিশু বেশ আরাম বোধ করে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শিশুকে সাবধানতার সাথে গোসল করানো । কারণ সাবধান হয়ে গোসল না করালে কানে পানি যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর কানে পানি গেলে infection হয়ে কানপাকা রোগ হয়ে যেতে পারে । এরপর যদি সময়মত চিকিৎসা না করা হয় তবে কানের পর্দা ফুটো হয়ে গিয়ে শিশু চিরকালের জন্য বধির হয়ে যায় । অর্থাৎ কানে কম শোনে । অতি সামান্য কারণে অর্থাৎ গোসল করার ত্রুটির কারণে শিশুর জীবনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । সবশেষে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে,বাড়ীতে যদি কোন ছোঁয়াচে অসুখ কারও হয়ে থাকে যেমন হাম, চিকেন পক্স,হেপাটাইটিস,ইত্যাদি,তাহলে রোগী যে ঘরে থাকে সে ঘর থেকে শিশুকে দূরে একটি ঘরে রাখতে হবে এবং কোন ক্রমেই যেন শিশু তার সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আর সেইসাথে আর একটি কথাও মনে রাখতে হবে যে শিশুরজন্মের পর থেকে ছয় সপ্তাহ বয়সের সময়ের মধ্যে শিশুকে ডিপথেরিয়া,ধনুষ্টংকার ,পোলিও,হুপিংকাশী ও যক্ষা রোগের টিকা দিয়ে দিতে হবে । এইভাবে সঠিক সময়ে টিকা দিয়ে দিলে শিশুর ঐসব রোগের ভয় থাকেনা । আর যেহেতু সদ্যজাত শিশুর, বড়দের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে ,সে কারণে শিশু কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন । এভাবে সদ্যজাত শিশুকে যত্ন,পরিচর্যা আর রোগের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে সে শিশু সুস্থ ও সবল হয়ে বেড়ে ওঠে ।

Read More